চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি দাস আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

সোমবার (২৩ মে) চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন চুমকি। শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

এ মামলায় গত ৪ এপ্রিল প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে এবং তার আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, আসামি চুমকি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন আদালত।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের এ মামলার দুই আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

তবে চুমকির বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।

২০২১ সালের ২৮ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্জন ও অন্যকে হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয় অভিযোগপত্রে। এতে মোট ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।

কক্সবাজারের টেকনাফের কাছে বাহারছড়া চেকপোস্টে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

ওই মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।